সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের উপর জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। এটি এটিতে বেশ কয়েকটি নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে আমি ইরানের পারমাণবিক, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং অন্যান্য অস্ত্র কর্মসূচিকে সীমাবদ্ধ করতে নতুন পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি। আমার সরকার ইরানকে কখনও পারমাণবিক অস্ত্র রাখার অনুমতি দেবে না। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করে ইরানকে বিশ্ব বিপন্ন করতে দেব না।
ট্রাম্প বলেছিলেন যে আমি ইরানের উপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞাগুলি পুনর্বহাল করার পাশাপাশি ইরানের পারমাণবিক, ক্ষেপণাস্ত্র এবং প্রচলিত অস্ত্র সম্পর্কিত কার্যক্রমকে সমর্থনকারী দুই ডজনেরও বেশি সত্তা ও ব্যক্তিদের উপরে নতুন নিষেধাজ্ঞার আদেশ জারি করেছি। এটি ইরানের উপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞাগুলি ফিরিয়ে আনার এক পদক্ষেপ। এই নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে আমি যারা ইরানে অস্ত্র সরবরাহ বা বিক্রয় করতে সহায়তা করে আসছি তাদের সম্পত্তি এবং স্বার্থকে বাধা দিচ্ছি।
মার্কিন রাষ্ট্রপতি দাবি করেছেন যে ইরানের উপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞাগুলি বাস্তবায়নের জন্যও এই আদেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই আদেশের ফলে এই অঞ্চলজুড়ে সন্ত্রাসীদের কাছে অস্ত্র রপ্তানি করার ইরানী সরকারের ক্ষমতা ক্ষুণ্ন হবে। শুধু এটিই নয়, এটি অস্ত্র অর্জনের সেনাবাহিনীর ক্ষমতাও হ্রাস করবে। এই আদেশের ভিত্তিতে যারা ইরানের সাথে অস্ত্র সরবরাহ, বিক্রয় বা সহায়তা করতে তাদের যুক্তরাষ্ট্রে সম্পত্তি সংযুক্ত করা হবে।
এর আগে জাতিসংঘের সেক্রেটারি-জেনারেল আন্তোনিও গুতেরেস বলেছিলেন যে সুরক্ষা কাউন্সিল কর্তৃক সাফ না হওয়া পর্যন্ত জাতিসংঘ ইরানের উপর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে সহায়তা করতে পারবে না। গুতেরেস সুরক্ষা কাউন্সিলকে দেওয়া চিঠিতে বলেছিলেন যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পনপিও সুরক্ষা কাউন্সিলের রেজুলেশনে 'স্ন্যাপব্যাক' ব্যবহার করেছেন কিনা সে বিষয়ে কোনও স্পষ্টতা নেই। এটাও বিশ্বাস করা হয় যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ পদক্ষেপটি জাতিসংঘের বার্ষিক উচ্চ-স্তরের বৈঠকে বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে।
COMMENTS