শীতকালে এবং বর্ধিত দূষণ শিশুদের সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে। শীতকালে দূষণের মাত্রা বেশি থাকে, শিশির দ্বারা দূষিত স্যাঁতসেঁতে ধুলো নেমে আসে এবং বায়ুমণ্ডল দূষিত হয়। শিশুরা এই দূষিত বায়ু থেকে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি নিয়ে থাকে। শিশুরা এই পরিবেশ থেকে সর্দি, কাশি এবং মাথাব্যথার অভিযোগ করে, এবং তাদের হাঁপানির ঝুঁকিও রয়েছে। বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, তাই তাদের স্বাস্থ্যের উপর দূষণের প্রভাব বেশি।
শীতকালে দূষণের কারণে শিশুদের দূষিত বাতাস, মাথা এবং বুকে ব্যথা, সর্দি, কাশি, এবং চোখের জ্বালা দিয়ে শ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে। বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের উপর বায়ু দূষণের প্রভাব দ্রুত, তাই এটি এড়ানো গুরুত্বপূর্ণ। আসুন জেনে নিন কীভাবে দূষণ শিশুদের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে এবং কীভাবে এটি প্রতিরোধ করতে পারে।
বাচ্চাদের সমস্যা:
শীতে দূষণের মাত্রা বাড়ানো শিশুদের হাঁপানির সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
শিশুদের মধ্যে শ্বাস প্রশ্বাসের সংক্রমণ বাড়তে পারে।
দূষিত বায়ু ফুসফুসকে প্রভাবিত করতে পারে।
দূষণ শিশুদের, বিশেষত নবজাতকদের অ্যালার্জির উচ্চ ঝুঁকিতে অ্যালার্জির কারণ হতে পারে।
ক্রমবর্ধমান দূষণের সাথে শীতে বাচ্চাদের কীভাবে যত্ন নেওয়া যায় তা এখানে বলা হল:
বাচ্চাদের বাড়ির বাইরে খেলতে অস্বীকার করুন। ইনডোর গেমস খেলার প্রস্তাব দিন।
এই মরশুমে করোনা এড়ানোর জন্য একটি মাস্ক পরা যেমন দূষণ এড়ানোর জন্য একটি মাস্ক পরা তেমনি গুরুত্বপূর্ণ। মাস্ক ছাড়া বাচ্চাদের বাইরে বেরোতে দেবেন না।
বাচ্চাদের ডায়েটে ভিটামিন সি এর পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। এতে আমলকি, কমলা লেবু এবং পেয়ারা জাতীয় জিনিস অন্তর্ভুক্ত করুন।
বাচ্চাকে আরও বেশি তরল জাতীয় খাদ্য দিন।
বাচ্চাদের উচ্চ দূষণ সহ কোনও জায়গায় যাওয়া বন্ধ করুন, যাতে বাচ্চাদের স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
খাবারে রসুন এবং আদা ব্যবহার করুন, যাতে শরীরে দূষণের প্রভাব হ্রাস পায়।
বাচ্চাদের ডায়েটের বিশেষ যত্ন নিন। খাবারে এই জাতীয় জিনিস অন্তর্ভুক্ত করুন যা শিশুদের অনাক্রম্যতা বাড়িয়ে তুলবে এবং খাবারে বাচ্চাদের আগ্রহও বজায় রাখবে।
যদি শিশুটির হাঁপানি বা অ্যালার্জি থাকে তবে তার ক্রিয়াকলাপগুলিতে নজর রাখুন তবে তার আগে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
COMMENTS