সারা দেশজুড়ে হাথরাস গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে। এই বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেস ক্রমাগত সরকারকে আক্রমণ করে চলেছে। দু'দিন আগে দলের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং রাহুল গান্ধী হাথরাসে আক্রান্তের পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করতে যান। এরপরে পুলিশ তাদের ঘিরে ফেলে গ্রেটার নয়ডার পরি চৌকে থামায়, তারপরে এই দুই নেতাকেই দিল্লিতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
আজ, রাহুল গান্ধী আবারো হাথরাস যাবেন। রাহুল গান্ধী হাথরাসে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, পৃথিবীর কোনও শক্তিই তাকে হাথরাসের ভুক্তভোগীর পরিবারের সাথে দেখা করতে এবং তাঁর বেদনা ব্যক্ত করতে বাধা দিতে পারে না। রাহুল গান্ধী ট্যুইট করেছেন যে 'এই মিষ্টি বাচ্চাটি ও তার পরিবারের সাথে ইউপি সরকার ও পুলিশ কর্তৃক যে আচরণ করা হয়েছিল তা আমি মানি না। কোনও ভারতীয়ের এটি মানা করা উচিৎ নয়। একই সঙ্গে, পুলিশও রাহুল গান্ধীর আগমনের বিষয়ে সতর্ক। এ কারণে, নয়ডা দিল্লি সীমান্তের পাশাপাশি জেলার অন্যান্য অঞ্চলেও অনুসন্ধান চলছে। পুলিশ হাথরাসে যে নেতারা যাচ্ছেন, তাদের খোঁজ করার জন্য নিরন্তর তল্লাশী করছে।
বিরোধী দলের অনেক নেতাই হাতরাতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থের পরিবারের সাথে দেখা করতে চান। তবে ভুক্তভোগীর গ্রাম পুরোপুরি সিল করে দেওয়া হয়েছে। কোনও নেতা এমনকি গণমাধ্যমকেও ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যদের দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার, রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সহ কংগ্রেসের অন্যান্য নেতাদের সাথে হাতরাতে যাওয়ার চেষ্টা করা হলেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে এবং পরে চলে যায়।
COMMENTS